এবার পূজো ওদেরও । ওদের বলতে কাদের কথা বলছি !? যাদের কাছে পূজো মানে মনখারাপ আর বিষাদ । যাদের কাছে পূজোর দিন ও আর পাঁচটা সাধারন দিনের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই, তাদের কথা বলছি। যাদের কথা আমরা ভাবি কিন্তু পাশে এসে দাঁড়ায় না ।
সেই হাবড়ার নহাটার আদিবাসী মুন্ডাগ্রামের দুঃস্থ শিশুরা , ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির দরিদ্র আদিবাসী বাচ্ছারা, কিংবা দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার ক্যানিংয়ের কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় ও পিছিয়ে পড়া শিশুরা, অথবা রঙিন আলোয় সজ্জিত কলকাতা নগরী থেকে কয়েকশো মাইল দূরে আলিপুরদুয়ারের দলগাঁও চা বাগানের শ্রমিকদের দরিদ্র, দুঃস্থ, ও অসহায় শিশুদের কথা আমি আপনি ভুলে গেলেও ভোলেনি কলকাতার মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ ।
প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরেও দুঃস্থ শিশুদের প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়ে, পূজোর আনন্দ সকলে ভাগ করে নিতে এগিয়ে এসেছে মনীন্দ্র চন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণ জ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপিকা সহ প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা।
২০১১সাল থেকে তাঁরা এই মহান কর্ম উদ্যোগে সামিল হয়েছে । ২০২৩ এ তাদের পূজো পরিক্রমা ১৩ বছরে পদার্পন করলো। এবারের গন্তব্য চা বাগান। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের দলগাঁও চা বাগানের শ্রমিকদের অসহায় শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে এবার পূজোয় তাদের পাশে , মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ।
৮ ই অক্টোবর পূজোর উপহার নিয়ে চা বাগানের আকাশে বাতাসে পূজোর আনন্দ ছড়াতে আসছে মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ। সাধুবাদ জানায় এই মহান কর্মপ্রয়াসকে। মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগ আগামীর উদাহরণ হয়ে থাকুক। সাংবাদিকতা পাঠের পাশাপাশি মানবিকতার পাঠ দিয়েও অনন্য নজির সৃষ্টি করছে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ।