শুচিষ্মান চক্রবর্তী : জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী হয়তো বহুবছরে ঠিক এরকম কাটেনি। এ বছরে আলোর শহরেও মানুষের মন খারাপের কালো ছায়া লক্ষ্য করা গেছে।
চন্দননগরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে জায়ন্ট স্ক্রিনের সামনে কিছু পানসে মুখের ভিড় ফিকে করেছে এই শহরের অনাবিল আনন্দের চিরপরিচিত ছবি টা।
আলোর গেট, অ্যাড ফ্লেক্স, খাবার স্টল, ঢাক, প্যান্ডেল, প্রতিমা সবই এক ছিল, তবু সে আনন্দ আয়োজন সবই বৃথা হয়েছে জনজোয়ার ছাড়া।
অরিজিৎ সিং সাধারণত মানুষকে কাঁদিয়ে থাকেন তবে গতকাল সে ভার নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
আসলে হয়তো কালকের দিন টা আমাদের দেশের পক্ষে ছিল না। তবে, পড়শি কোনও দেশের মতো চন্দননগরে জায়ন্ট স্ক্রিন কেউ ভাঙেনি ম্যাচ শেষের পরে।
রাত বাড়তে বাড়তে কিছু মানুষ দুঃখ ভুলতে রাস্তায় হেঁটে ঠাকুর দেখতে শুরু করে। মানুষ এটুকু হয়তো কাল টের পেয়েছে সে মাতৃরূপে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরও আসলে সত্যের পক্ষে।
আর সত্য এটাই, যে শর্মা, কোহলি, শামী, বুমরাহদের এটা বোঝা উচিৎ ছিল যে বিপক্ষ টিম টার নাম অস্ট্রেলিয়া।
সব শেষেরই যেমন একটি শুরু থাকে তেমন সব দুঃখের শেষেই পড়ে থাকে আনন্দ। কেবলই আনন্দ, উচ্ছাস, ফুর্তি।
আপতত, সে সব নিয়ে বাকি তিনটে দিন কাটানোর জন্য কোমোর বাঁধছে চন্দননাগরিকরা।