সায়ন বসাক : নাহ! এবারও ঘুচলো না পুরোনো বদনাম। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বারংবার। ফের সেমিফাইনালে সফর শেষ প্রোটিয়ার।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন চুরমার করে ফিরতে হবে নিজ দেশে। যতবারই চেষ্টা করেছে ততবারই একই পরিস্থিতি ঘটেছে।এবার বিশ্বকাপে আশা জুগিয়েছিল তাঁরা। কিন্ত সেমিফাইনালেই স্বপ্ন শেষ। ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। আবহাওয়া বিশেষ ভালো ছিল না। মেঘাছন্ন থাকায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে চেয়েছিলেন দুই দলেরই অধিনায়ক। টস জিতল দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার দখলে।
নিঃসন্দেহেই ব্যাট নেয়। তবে পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক বাভুমার উইকেট নেয় মিচেল স্টার্ক। তারপর ডি'কক, মার্কাম ও ডুসেন। ক্রিজে এলেন আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরত গেলেন। তবে হাল ধরলেন একজন। ডেভিড মিলার। আক্রমণাত্মক শট আর ঠান্ডা মাথার ব্যাটিং দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে কিছুটা অক্সিজেন জোগালো। মাঝে বৃষ্টির কারণে কয়েক মিনিট খেলা বন্ধ রাখা হয়। তবে বৃষ্টি বেশিক্ষণ হয়নি। খেলা ফের শুরুর পর মিলারের ব্যাটে এলো শতরান। গুরুত্বপূর্ণ সময়, যে সময় দলের দরকার ছিল একজনের হাল ধরার সেই সময় এলো ১০১ রানের একটি ইনিংস। তাঁর এই ইনিংস ছিল আটটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা দিয়ে সাজানো। মিলার সাথে কিছুটা রান করেন হেনরিক ক্ল্যাসেন। ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সব মিলিয়ে স্ট্রাগল করতে করতে ২১২ রানে শেষ হয় প্রোটিয়ার ইনিংস। সেই রান তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ট্রেভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। সেই রানের গতিতে স্পিডব্রেকার হন এইডেন মার্কাম। ৬০ রানে প্রথম উইকেট পতন ঘটে অজিদের। তাঁরা চাপ না নিলেও চাপে পড়তে বাধ্য হতে হয় তাদের। রান উঠলেও উইকেট পতন একটা চিন্তার ভাঁজ দিয়ে রেখেছিল। মোড় ঘোরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্ত ভাগ্য মনে হয় কোনোভাবেই তাদের দিকে ঘোরেন না। 'চোকার্স' বদনাম এবারও ঘুচলো না। আবারও চার বছরের অপেক্ষার দক্ষিণ আফ্রিকার। বিশ্বকাপে ভালো প্রদর্শন করলেও ফাইনালে যাওয়া হলো না তাদের। আগামী ১৯শে নভেম্বর আহমেদাবাদে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রলিয়া। ২০ বছর আগের সেই ফাইনালের বদলা কী নেবে ভারত? আপনাদের কী মনে হয়?