মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্প নিয়ে বরাবরই বিশেষ উদ্যোগী, তাই স্বল্প পুঁজি দিয়েও যে কিভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠা করা যায় , সেই পরামর্শ তিনি বারংবার দিয়েছেন। চপ শিল্প , ঝালমুড়ি ,ঘুগনি ও চা শিল্প। এছাড়াও কচুরিপানা দিয়ে শৌখিন দ্রব্য ও প্রসাধনী শিল্প নির্মান , কাশফুল দিয়ে বস্ত্র শিল্প । ২০২১ সালে বিপুল ভোটে জয়ের পর তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে বলেছিলেন এবার তার পাখির চোখ শিল্পায়ন, মূলত মাঝারি এবং বড় শিল্পের উপরেই গুরুত্ব দিতে চাই রাজ্য। তাই এগারো দিনের বিদেশ সফর।
আট দিনের স্পেন সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার সকালে দুবাইয়ে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সফরের শুরুতেই দুবাই এসেছিলেন, কিন্তু সে সময় কর্মসূচি না থাকায় দুবাই থেকেই স্পেনে গিয়েছিলেন। স্পেন সফরে লা লিগার সঙ্গে মউ সাক্ষর সহ একাধিক সুখবর এসেছে বাংলার জন্য। বার্সেলোনায় বিনিয়োগ আনতে পাঁচ মন্ত্রে ভরসা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশে গিয়ে তিনি বার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ কিভাবে 'গেম চেঞ্জার' হয়ে উঠতে পারে। আজ সকালে দুবাই পৌঁছেছেন, সেখানে শিল্প নিয়ে আলোচনা হবে শিল্পপতিদের সাথে। সন্ধ্যায়দুবাইয়ের ভারতীয় উপদূতাবাসে চা-চক্রে যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দুবাইয়ের ‘‘জেবেল আলি বন্দর’ এবং জাফজা মুক্তাঞ্চল পরিদর্শনে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার বাণিজ্য পরিচালন পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা দেখাই মূল উদ্দেশ্য তাঁদের। এছাড়া বাংলার তাজপুরকে জেবেল আলি বন্দরের ধাঁচে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের সেই উদ্দেশ্যে বন্দর পরিদর্শনে যাবে বিশেষ প্রতিনিধি দল। স্পেন ও বার্সেলোনা বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সদর্থক প্রতিক্রিয়া মিলেছে। এখন দেখার বিষয় দুবাই থেকে কী কী উপহার আনতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার জন্য।