রাজ্যের প্রাপ্য আদায় করতে দিল্লি যাওয়ার তোরজোর
জয়শ্রী দাস: একুশে জুলাই এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ,২রা অক্টোবর রাজ্যের প্রাপ্য আদায় করতে তিনি সদল বলে দিল্লি যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিঙ্গের সাথে দেখা করতে। মঙ্গলবার দিন সেই রকমই একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছিল X মাধ্যমে। আগামী সোমবার দলীয় সংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি , পঞ্চায়েত সমিতি, ও জেলা পরিষদের সদস্যরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বকেয়া আদায় করতে যাবেন ; সঙ্গে থাকতে পারেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতির বিষয় এখনো সংশয় আছে।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে থেকেই এই কর্মসূচির তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং মঙ্গলবার দিন সেই তোড়জোড়ের একটি পোস্ট করা হয় X মাধ্যমে, যেখানে দেখা যায় দিল্লিতে 50 লক্ষ চিঠি পাঠানোর ছবি। অভিষেক ব্যানার্জি এই ছবিটি শেয়ার করে লেখেন " পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এককাট্টা, আমাদের নায্য প্রাপ্য আদায়ের বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছে। গণতন্ত্রে মানুষের শক্তিই সর্বোচ্চ।’’ এরকম আরেকটি পোস্ট দেখা যায় তৃণমূলের নবোজোয়ার X মাধ্যমেও যেখানে বান্ডেল চিঠির ভিডিও প্রকাশের সাথে শিরোনামে ছিল ' দিল্লিতে পৌঁছবে বাংলার গর্জন: হকের টাকা ফেরত চাই এখনই!' ।
অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ করে যারা টাকা পায়নি তাদের দাবিও দেওয়া হবে কৃষি ভবনে।
জানা গিয়েছে, ১লা অক্টোবর বকেয়ার দাবিতে ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে যাবেন নেতা কর্মীরা এবং অভিষেকও। ২রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে প্রার্থনা এবং পরের দিন দিল্লির জন্তর মন্তর চত্বরে ধর্না দেবে তৃণমূল, যদিও নেত্রীর পায়ের চোটের কারনে তিনি সেখানে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন।
৩রা অক্টোবর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ জানান, বিজেপি নেতৃত্বে তাকে ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছে । তাই সেদিন তিনি ওখানেই থাকবেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন , পঞ্চাশ লক্ষ চিঠি দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে। সেই চিঠি সে রকম ভাবে তৃণমূল দপ্তরেও পৌঁছে গিয়েছে। চিঠি গুলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও যাবে।