লোক সভা ভোটের আগে , দুর্নীতি আড়াল করতেই কী তৃনমূলের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যু ?
শিলা রাজবংশী : বর্তমানে একের পর এক তৃণমূলের তাবড় তাবড় মন্ত্রীদের দূর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করছেন ইডি আধিকারিকেরা । গলার কাটার মত বিচ্ছেদ ইডি আধিকারিকেরা ।
দুর্নীতির তকমা সরাতে কি বকেয়ার দাবি ?
বহুদিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে বিজেপি একের পর একের দুর্নীতির অভিযোগ করছেন তৃণমূলের ওপর । ইতিমধ্যে আবাস দূর্নীতিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা ।
গত সোমবার এক্স হ্যান্ডেলর মাধ্যমে রাজ্যের জন্য বকেয়া আদায়ের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল । অন্যদিকে ১০০ দিনের কাজ ও আবাস প্রকল্পের বকেয়া আদায়ের দাবিতে নিচু তলার নেতৃত্বকে মাঠে নামাচ্ছেন ঘাস ফুল শিবির ।
সামনেই লোকসভার ভোট । বিনা যুদ্ধে এক ফোটাও জমি ছাড়তে নরাজ তৃণমূল কংগ্রেস ।
অন্যদিকে বিরোধীরাও বিভিন্ন কর্মসূচি ও অভিযোগের মাধ্যমে কোণঠাসা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে ।
তৃণমূল্ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার করছেন : " বিজেপির জমিদাররা রাজ্যের নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে । যাদের কাজে সব কা সাথ , সাব কা বিনাশ। সাব কা সাত্যেনাশ , নিশ্চিত হচ্ছে । তারা আরো বলেছেন ৩১শে অক্টোবর মধ্যে বাংলাকে ন্যায্য প্রাপ্য দেওয়ার কথা ছিল, বাংলা অপেক্ষা করেছে তারপরও পায়নি ।
পাল্টা জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাদেরা ৩০ হাজার টাকার কাটমানি দিতে পারেনি বলে যোগ্য হয়েও প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার ঘর পাননি বহু মানুষ । আগামী ২৯ শে নভেম্বর কলকাতা ১ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করব । এরই সঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছেন " বঞ্চনা কাকে বলে আমরা তৃণমূলকে দেখিয়ে দেবো । দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে বহু নেতা গ্রেফতার হয়েছেন । আরো নেতারা লাইন দিয়ে আছেন । যে কোনদিন তারাও গ্রেফতার হতে পারেন ।
আমজনতার কাছে স্পষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতি । তাদের দৃষ্টি ঘোরাতেই কি বকেয়ার দাবি ? এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচি করছে । সকল স্তরে মানুষের কাছে লোকসভার ভোটের আগেই পৌঁছে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এই ব্যস্ততা কি তাদের মনোবল ধরে রাখবে ?