ভারতকে ভালোবাসার প্রকৃত কারণ লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা
রোহিত মিস্ত্রি:- শুধুই কি আজ গান্ধীর জন্মদিন? না আজ জন্মেছিলেন ভারতবর্ষকে ভারত বর্ষ বানানোর অন্যতম কান্ডারী, লাল বাহাদুর শ্রীবাস্তব। যাকে ভারতবাসী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর নামেই চেনে। ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামরিক কূটনৈতিক চারদিকেই সমান দক্ষ ছিলেন তিনি।
২রা অক্টোবর ১৯০৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উত্তরপ্রদেশ অঞ্চলের মোগলসরাই তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শাস্ত্রী জী । তার প্রথম নাম ছিল লাল বাহাদুর শ্রীবাস্তব, একাডেমিক ক্ষেত্রে উৎকৃষ্টতা প্রদান করার জন্য তাকে শান্তি উপাধি দেওয়া হয়। দর্শনশাস্ত্র ও নৈতিশাস্ত্রে ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন , তিনি । একাধারে যেমন তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী তার পরবর্তী মুহূর্তে তিনি যোগদান করেছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসে। সরাসরি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য লাল বাহাদুর শাস্ত্রী কে বহুবার ব্রিটিশ কোম্পানি কারারুদ্ধ করেছিলো । ৯ জুন ১৯৬৪ সালে ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। প্রথমে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট মিনিস্টার , সেখান থেকে ভারতের রেলমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে জহরলাল নেহেরুর পর দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার এসে পড়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর উপর।
১৯৬৫ সালে ইন্ডিয়া বনাম পাকিস্তানের যুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এ সময় কৃষক সমাজকে চাষবাসের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তিনি জয় জাওয়ান জয় কিষান এই উদ্ধৃতিটি উক্ত করেছিলেন। ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি মাসে তাসখন্দ চুক্তির উদ্দেশ্যে তিনি যখন উজবেকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হন তখন দুই দেশের রাজনৈতিক ও আর্থিক সম্বন্ধ তিনি সরাসরি নাকচ করে দেন । কিন্তু তারপরের দিন ১১ই জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে হতাশা দেখল ভারতবর্ষের মাটি চলে গেলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এক অদ্ভুত উপায় অবলম্বন করে। তাসখন্দ সোভিয়েত সংঘ উজবেকিস্তানে বাথ টাব এর মধ্যে মৃতদেহ পাওয়া গেল লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তার মৃত্যু রহস্য আজ ও কিন্তু মানুষের অধরা রয়ে গেছে।
কিন্তু ভারতবর্ষের ইতিহাসে ভারতবর্ষকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম পূজারী কিন্তু এই লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। তাই তাকে উদ্দেশ্য করেই বলা।
শুভ জন্মদিন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জী ।