ছোট থেকেই অভিনয় ছিলো তার সপ্ন । আজকের মতো তার জগৎ জোড়া খ্যাতিও ছিল না, শৈশব থেকেই বহু স্ট্রাগেল করতে হয়েছিল । প্রথম জীবনে ধারাবাহিক থেকে থিয়েটার, একটা কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতেন কিং খান। কে জানতো একটা সময় তিনি বলিউডের বেতাজ বাদশাতে পরিণত হবেন। সম্প্রতি বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে জাওয়ান ।
সম্প্রতি বলাটা ভুল , মাস পেরোতে যায়, তবে আজও হাউসফুল প্রত্যেকটা শো । তবে অনেকেই বলছেন শাহরুখের কাম ব্যাক । কিন্তু না শাহরুখ ছিলেন আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন । একাধিক সিনেমায় নিজেই ভেঙেছে নিজের রেকর্ড । পাঠানের সাত মাস পর বড় পর্দায় ফিরেছেন কিং খান । অনেকেই বলছেন তিনি প্রত্যাবর্তন করেছেন , কিন্তু সত্যি কি তাই ?
প্রত্যাবর্তন কথাটা বোধহয় শাহরুখের সাথে মানায় না ।
এক সময় শাহরুখ কে শুনতে হয়েছিলো , তাকে দেখতে খারাপ তাই ছবির অভিনেতা কোন দিনও হতে পারবে না সে । এই কথা টা বলেছিলেন মেহমুদ সাহব । কে ছিলেন এই মেহমুদ সাহব ? মেহমুদ সাহব ছিলেন কিং খানের ব্যাঙ্গালোরের এক জন প্রতিবেশী ।তবে শাহরুখ খান হাল ছাড়েননি। রূপ নয়, নিজের গুণেই বিশ্বাস রেখেছিলেন শাহরুখ খান। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শাহরুখ খানের সেই আত্মবিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। বর্তমানে সেই কিং খান দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন গোটা বিশ্ব। শাহরুখ খানের বাড়ি 'মন্নত' অনেকেই দেখেছেন হয়তো। মুম্বইবাসী থেকে পর্যটক, সকলেই এক বার দেখে আসতে চান প্রিয় প্রাসাদের চেহারা। এই মান্নতের সামনে অনুরাগী ,সমর্থক দের ভিড় ও থাকে চোখে পড়ার মতো । এক বার কিং খানকে দেখার জন্য তারা মুখিয়ে থাকেন আজ ও । কিং খানও ভয় পান। তাঁরও আশঙ্কা হয়। তিনিও প্রশ্ন করেন, ‘‘আমার এই যে এত অনুরাগী, তাঁরা চিরকাল আমার বাড়ির নীচে ভিড় জমাবে তো?"
তার আশঙ্কা হয়তোবা কখনোই সত্যি হওয়ার নয় । আজও ঈদের অনুষ্ঠান হোক বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান মন্নতের বাইরে থাকে অগণিত অনুরাগীদের ভিড় । এটাই বোধহয় একজন প্রকৃত শিল্পীর সার্থকতা ।
বক্স অফিসে একাধিকবার ভেঙেছেন নিজের করা রেকর্ড সম্প্রতি এই বছরের শুরু তে ১০০০ কোটির রেকর্ড করে পাঠান সিনেমাটি হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাস গড়েছিল ।ঠিক তার কয়েক মাস পরেই জাওয়ান সিনেমায় নিজের করার রেকর্ডকেই ফের ভাঙ্গলেন শাহরুখ । মুক্তির প্রায় ২৪ দিনের মধ্যেই জাওয়ান এর ব্যাবসা ১০০০ কোটির দোরগোরা পেরিয়েছে ।