শ্রাবন্তী হালদার : বাঙালি মাংসের ঝোল তো আমরা সবাই খেয়েছি তবে এই কোলহাপুরি চিকেন ১০০ শতাংশ মানুষের মধ্যে হয়তো ৯০ শতাংশ মানুষই খাননি।অনেকে হয়তো নামটিও শুনছেন প্রথমবার।বৃষ্টির দিনে তো চিকেন খেতে সবারই ইচ্ছে হয় তবে প্রতিদিনের ওই চিকেনের ঝোল বাদ দিয়ে স্বাদ বদলের জন্য আজই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন এই কোলহাপুরি চিকেন। এই বৃষ্টির দিনে গরম ভাত বা রুটির সাথে জমে যাবে এই কোলহাপুরি চিকেন চাইলেই একবার বানিয়ে দেখতে পারেন এই অনবদ্য সুস্বাদু রেসিপিটি।
উপকরণ- মুরগির মাংস, টক দই, আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ, টমেটো,গ্রেট করা নারকেল, লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লবণ, লেবুর রস, তেজপাতা, দারুচিনি, লবঙ্গ, জায়ফল পাউডার, পোস্ত, তিল, গোলমরিচ, সরিষার তেল,ধনেপাতা।
প্রণালী- প্রথমে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, রসুন ও আদা বাটা, লবণ, লেবুর রস ও টক দই দিয়ে মাংসটাকে ম্যারিনেট করে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রামে রেখে দিন। চাইলে সারারাতও রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে ফ্রিজে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এরপর প্যানের মধ্যে দারচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, পোস্ত,তিল ও গ্রেট করা নারকেল একত্রে দিয়ে গন্ধ না আসা পর্যন্ত ভালোভাবে ভেজে নিন । এরপর প্যানে কিছুটা পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে পিঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভেজে নিন। কিছুক্ষণ ভাজার পরে যোগ করুন টমেটো কুচি এবং মসলা থেকে তেল আলাদা না হওয়া পর্যন্ত রান্না করে নিন মাঝারি আঁচে।মসলাটি নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবং শুকনো ভাজা মসলা গুলির সাথে একত্রে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এটিকে কোলহাপুরি মসলা বলা হয়। পরবর্তীতে প্যানে সরিষার তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হলে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ নাড়ার পর ওই মাংসের মধ্যে যোগ করুন কোলহাপুরি মসলাটি এবং ভালোভাবে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে মাংসটি রান্না করে নিন। রান্নার মাঝে লবণের পরিমাণ দেখে নিন এবং কম হলে স্বাদমতো লবণ যোগ করুন। রান্না হয়ে গেলে ধনেপাতা যোগ করে কিছুক্ষণ এভাবেই ভাপে রেখে দিন। ব্যাস! তৈরি মাংসের এক ভিন্নধর্মী উপদেয় পদ। গরম ভাত বা রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন এই কোলহাপুরি চিকেন।