স্নেহা ঢালী : রাজকুমার মৈএের উপন্যাস থেকে এই "বগলা মামা" গল্পটি নেওয়া এবং বড় পর্দায় এসেছে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায়। আগামী ২৪ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই মুভি। গল্পের প্রেক্ষাপট আশির দশকের।
এখন যেহেতু বাংলা সিনেমা বেশিরভাগ থ্রিলার, ভূত, গোয়েন্দা এসবে ভারাক্রান্ত। এই জায়গাই দাড়িয়ে এই "বগলা মামা" -র মতো রসিক ছবির পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।
এই ছবি হাসির ছবি হলেও দর্শকদের চোখে শেষে জল এনে দিয়েছে। ছবির নাম ভূমিকায় এবারে খরাজ মুখোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ছবি জুড়ে তিনি রয়েছেন। তাছাড়াও এই ছবিতে একাধিক চরিত্রের ভিড়। খরাজের মতো একজন শক্তিশালী অভিনেতা কমেডি সম্পর্কে দর্শক ওয়াকিবহল। বাগলা চরিএটিকে খরাজ নিজের মতো গড়েপিঠে নিয়েছেন। ফলে ছবি যত এগিয়েছে এই চরিত্রের সাথে দর্শক তত আত্মস্থ হতে পেরেছে। হাসি,রাগ,কান্না সব মিলিয়ে খরাজ ছাড়া বাগলা মামা ভাবাই যায় না। খরাজের পরেই এই ছবিতে সবথেকে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রজতাভ দও। খল চরিএ হলেও তার চরিত্রে কমেডির মিশ্রণ দর্শকের মন কেড়েছে। কেবুর চরিত্রে ছিলেন ঋদ্ধি সেন এবং তার প্রেমিকা অর্থাৎ কেবুরের প্রেমিকা মধুজার চরিত্রে ছিলেন দিতিপ্রিয়া রায় এবং কেবুরের বন্ধুদের চরিত্র, সব মিলিয়ে প্রত্যেকেরই সুন্দর অভিনয়।
সাথে কৌশিক সেন, সুমিত সমাদ্দার ও রেশমি সেন নিজেরা নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছিলেন। তবে অপরিজিতা আঢ্যের অভিনয় মনে রয়ে যাওয়ার মতো এককথায় অনবদ্য।
হারিয়ে যাওয়া বাংলার হাস্যরসকে এই বাগলা ছবির মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন । সেখানে দর্শকেরও মন কেড়েছে এই কমিডি ছবি। বলাবাহুল্য এই কমিডি মুভিতে তার হাতে খড়ি মন্দ হলনা।