২০১৫ এর স্মৃতি উস্কে নেপালে ফের ভয়াবহ ভূমিকম্প , মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮
স্নেহা নাথ : সমগ্র নেপালবাসীর কাছে 'ভূমিকম্প ' শব্দটি যেনো বিভীষিকার সমান। ২০১৫ সালে নেপালে ঘটা ভূমিকম্পের সেই ধ্বংসলীলার সাক্ষী ছিল গোটা পৃথিবী, যেখানে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। আবারও ভয়ঙ্কর স্মৃতির পুনরাবৃত্তি হলো । এ বছরের জানুয়ারিতেই ৫৪ মিনিটে চারবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। অক্টোবর মাসেও মৃদু ভূমিকম্প হয়েছিল । তবে এবারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান গত বারের তুলনায় অনেক বেশি। শুক্রবার রাত তখন ১১টা ৩৯ মিনিটে কেঁপে উঠল প্রতিবেশি দেশের মাটি। কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৪। অর্থাৎ তীব্রতার নিরিখে সেই ভূমিকম্প অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। আর সেই ভূমিকম্পের ফলে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেও। কম্পণ অনুভূত হয়েছে কোলকাতাতে ও প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে রাজধানী দিল্লি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ ভারতের একাংশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পে উৎসস্থল ছিল। এর কেন্দ্র ছিল কাঠমান্ডু থেকে চারশ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে জাজারকোটে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জজারকোট ও রুকুম পশ্চিমের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।জাজারকোটে এখনো পর্যন্ত ৩৪ জন ও রুকুমে ৩৬ জনের মারা যাওয়ার খবর এসেছে। যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে, তা ভারতের সীমান্ত থেকে খুব একটা দূরে অবস্থিত নয়। ফলে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, বিহারের মতো বিভিন্ন জায়গায় কম্পন্ন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর বাড়ি ধসে পড়েছে। স্থানীয় মানুষ সারা রাত ধরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছেন।
নেপাল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ১২৮ জন মারা গেছেন। আহতের সংখ্যা অন্তত ১৪০ জন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। উদ্ধারকার্য পুরোদমে চলছে ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে গেছে বিপর্যস্ত এলাকায়।ভূমিকম্প এতটাই তীব্র ছিল য়ে, দিল্লিতেও বাড়িঘর প্রবলভাবে কেঁপেছে। ফ্যান দুলতে শুরু করে। বোতলে রাখা জলে কাঁপতে শুরু করে। বহুতল থেকে মানুষ নিচে নেমে আসেন। তবে দিল্লি বা উত্তর ভারতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।