স্নেহা ঢালী : ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালা সহ অন্যান্য দেবতাদের প্রাণ প্রতিষ্ঠা আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই রামমন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে একদম জোরকদমে। ওই প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে আসা পোশাকে সাজবেন রামলালা।
ইতিমধ্যেই এই বিশেষ পোশাক সিন্ধু প্রদেশ থেকে রাম মন্দিরে এসে পৌঁছে গিয়েছে। আপাতত পোশাকটি সিন্ধি কলোনীর রামনগরে রয়েছে। এই রামনগরের দেবালয় মন্দিরে রামলালের পোশাকের পুজো হয়। হিন্দু রীতি মেনেই পাকিস্তান থেকে আসা এই বিশেষ পোশাকের শুদ্ধিকরণ করা হয়।
কাপড় শুদ্ধকরণের জন্য মোট ২১ জন পুরোহিত বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে পোশাকটি আরতি করেন।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালা এবং অন্যান্য দেবতার অভিষেকের সাথে 'রামময়' হবে উওরপ্রদেশের সমস্ত বড়ো মন্দিরগুলিও। সেদিন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোলে তুলে অযোধ্যার পুরোনো রামমন্দির থেকে রামলালার বিগ্রহ নিয়ে পৌঁছাবেন অযোধ্যার নবনির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহে। তিনি হেঁটেই এই পথ অতিক্রম করবেন। এরপরই গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ট্রাস্টিরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পেও ভেঙে পড়বেনা এই মন্দির। সাধারণ সিমেন্ট অথবা স্টিল এসব কিছু দিয়েই তৈরি হয়নি এই মন্দির। এই মন্দির তৈরিতে এমন মাটি ব্যবহার করা হয়েছে যা ২৮ দিনের মধ্যে পাথরে পরিণত হয়। এই মন্দিরের ভীত ১২ মিটার গভীর ও ৪৭ টি স্তর রয়েছে ভীতে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেএ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চপৎ রায় বলেন, ২১লাখ কিউবিটের গ্রানাইট ও বেলেপাথর ব্যবহার করা হয়েছে মন্দিরের নির্মাণকার্যে। তাছাড়াও, ১৯৯২ সালের পর থেকে যারা শিলা দান করেছেন তাদের পাথরগুলিও ব্যবহার করা হয়েছে মন্দির নির্মাণে। ট্রাস্টের কথায়, হাজার হাজার বছর পর্যন্ত এই মন্দির এই মন্দিরে কোনো সংস্কারের প্রয়োজন পড়বেনা।