বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর
শিলা রাজবংশী : আগামীকাল সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা । আমরা সকলেই জানি কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে আছে একটি বইয়ের শহর । সেখানে আপনি ডুবে যাবেন সেই বইয়ের জগতে । হারিয়ে যাবেন নানা বইয়ের মধ্যে , যেখান থেকে আপনাকে বের করে আনা বড়ই কষ্টসাধ্য হবে ।
বই প্রেমীরা ভালোবাসে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে । কিন্তু অনেক সময় সেই বই পাওয়া যায় না । হ্যাঁ যদিও এখন মুঠোফোনে বই খোঁজ করলেই নিমিষেই সেই বই চলে আসে। কিন্তু সেই বই পড়ে আসল বই পড়ার আনন্দ পাওয়া যায় না । বইয়ের মধ্যে যে একটা সুন্দর গন্ধ থাকে সেই গন্ধ অনুভব করার মধ্যেও যে একটি আনন্দ আছে সেই আনন্দই আজ ভুলতে চলেছে বহু মানুষ ।
কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে রয়েছে বিভিন্ন কলেজ । সেই কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ( বই পাড়ায় ) এবার শুরু হল দশ দিনব্যাপী অর্থাৎ ৪ ই ডিসেম্বর থেকে ১৩ই ডিসেম্বর অব্দি চলবে এই মেলাটি । কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বইমেলা ২০২৩ যেখানে মিলবে বাংলাদেশের ৬৫টি প্রকাশনার ১০০ টি করে বই । বইয়ের সমাহার মোট ৬৫০০ টি ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে এবার বাংলায় বই মেলাটি আয়োজন করা যায়নি ।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে বইমেলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই বাংলাদেশের বইয়ের
খোঁজে বইমেলায় বই পিপাসুদের ঢল নেমেছে।
এ যেনো দুই বাংলার মিলন মেলা । এক বাংলায় সম্মানিত হচ্ছেন আরেক বাংলার শিল্পীরা । এই অপরূপ দৃশ্যের সাক্ষী থাকছেন বিভিন্ন দেশবাসী।
গত সোমবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি সেখানে বলেন : "সময় যতই বদলে যাক, ইন্টারনেট, পিডিএফে লেখা আসুক, বই থাকবে। রাষ্ট্র থাকুক বা না থাকুক। বই থাকবে, কোনও হাই ওয়ের ধারের কাফেতে নিঃসঙ্গে, বিরাট জনসভার পাশে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা কবিতা প্রেমীর মত। মানব সভ্যতা যতদিন, বই ততদিন।"
এছাড়া বাংলাদেশ বইমেলায় ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে, গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এবার বাংলাদেশ বইমেলাতে হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু নামাঙ্কিত একটি বুক স্টল সাজানো হয়েছে। সেখানে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই এবং তার স্থিরচিত্র ।
এছাড়াও বইমেলা চলাকালীন প্রতিদিন সন্ধ্যায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠানের যোগ দেবেন ঢাকা ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ এবং সংস্কৃতি জগতের তারকারা ।
২০১১ সালে কলকাতার নন্দন চত্বরে গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালার মিলায়তনে প্রথম এই বই মেলাটি শুরু হয় ।
বই মানুষের জীবনে একটি আশীর্বাদ । বইয়ের জন্যই মানুষের জীবনে এত অগ্রগতি । শিশুর জন্মের পর একটা সময় থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বই মানুষের জীবনে ছায়া হয়ে থাকে । বই তাদের কাছে থেকেই আসল মর্যাদা পায় যারা আসলে বই ভালোবাসে ।